লাইফস্টাইল ডেস্ক,
ড্রাগন ফল এখন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ফল বড় ও দ্রুত ফলন পাওয়ার জন্য কিছু কৃষক নাকি এক ধরনের ‘টনিক’ (জিবারেলিক অ্যাসিড - GA3) ব্যবহার করছেন। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
🚩 দেশীয় ড্রাগন ফলের জাত
বারি-১ (কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট)
বাউ ড্রাগন-১, ২ ও ৩ (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)
⚠️ টনিক আসলে কী?
এটি এক ধরনের গ্রোথ হরমোন, যা গাছের ফলন দ্রুত বাড়ায়। তবে বাংলাদেশে এর ব্যবহার সরকারি অনুমোদনহীন।
🌱 চাষিদের অভিজ্ঞতা
শুরুতে ফলন বেশি হলেও গাছ দুর্বল হয়ে যায়।
বেশি সার ও পানির দরকার হয়।
ছোট আকারের ড্রাগন বাজারে বেশি দামি হয়।
🩺 স্বাস্থ্যঝুঁকি
বিশেষজ্ঞদের মতে—
শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে নানা রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
🔍 কীভাবে চেনা যাবে টনিক দেওয়া ড্রাগন?
ওজন: স্বাভাবিক ২৫০–৩০০ গ্রাম, টনিক দেওয়া ৩০০–৯০০ গ্রাম পর্যন্ত।
রং: প্রাকৃতিক গাঢ় লাল/পার্পেল; টনিক দেওয়া ফলে সবুজ দাগ থাকে।
আকৃতি: দেখতে অস্বাভাবিক।
স্বাদ: পানসে, মিষ্টি কম।
পাকা নয়: কাঁচা অবস্থায় বিক্রি করা হয়।
✅ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ড্রাগনই নিরাপদ।
কৃত্রিম হরমোন ব্যবহার করলে ফলের গুণমান ও বাজারে আস্থা দুই-ই কমে।
কৃষকদের উচিত স্বল্পমেয়াদি লাভ নয়, টেকসই চাষাবাদে গুরুত্ব দেওয়া।
🔗 সূত্র: বিবিসি বাংলা
মন্তব্য করুন