শিক্ষা ডেস্ক,
দীর্ঘ ৫ বছর পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন। গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) ছিল প্রচারের শেষ দিন। এখন ভোটের অপেক্ষায় উন্মুখ ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
দখলমুক্ত পরিবেশে প্রথম ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনী কমিশন আট কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ১০০ বাড়িয়ে মোট ৮১০ করেছে। এ নির্বাচনে ৪৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ মোট ২৮ পদে প্রার্থী বাছাই করবেন।
শেষ দিনে ছাত্রদল, শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদসহ ১০টি প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচারণা চালান। ক্যাম্পাসে সরব প্রচারণার পাশাপাশি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল তুমুল।
এবারের মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন, যা মোট ভোটারের ৪৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ছাত্রীদের হলগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্যানেলগুলো। বিশেষ করে রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, জগন্নাথ, জিয়াউর রহমান ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে সুইং ভোটারদের ভূমিকা নির্ধারণী হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে কিছু প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও কমিশন তাতে ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি করেছেন। প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু অস্ত্রোপচারের পর হুইলচেয়ারে বসেই প্রচারে যোগ দেন। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা নারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
বিশ্লেষকদের মতে, সুইং ভোটারদের সিদ্ধান্তই এবার নির্ধারণ করবে কারা হবেন ডাকসুর পরবর্তী ভিপি-জিএস।
মন্তব্য করুন