ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
দেশের বীমা খাতে গ্রাহক হয়রানি, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও আস্থা হ্রাস নিত্যদিনের চিত্র। বাজারে টিকে থাকার জন্য অনেক কোম্পানি উচ্চ হারে কমিশন দিয়ে এজেন্টদের ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তবে এর ফলে মুনাফা বাড়ার বদলে বরং লোকসানের বোঝা ভারী হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫৭টি বীমা কোম্পানি-র মধ্যে ২০টি জীবন বীমা, ৩৭টি সাধারণ বীমা কোম্পানি। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ২২টি সাধারণ বীমার মুনাফা কমেছে, বাকি ১৫টির মুনাফা বেড়েছে নামমাত্র। কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম ও মুনাফা কমার অন্যতম কারণ—এজেন্টদের অত্যধিক কমিশন।
বীমা খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক কোম্পানি নির্ধারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি কমিশন দিচ্ছে, ফলে ভালো মুনাফা তুলতে পারছে না। এছাড়া মেরিন ও অগ্নিবীমার পলিসি কমে যাওয়াও মুনাফা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৭টি সাধারণ বীমা কোম্পানির সম্মিলিত মুনাফা ২৯৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ২৯৫ কোটি টাকা ছিল। একক কোম্পানি হিসেবে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স সর্বোচ্চ ৫৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে, এরপর গ্রিন ডেলটা ২৮ কোটি টাকা। অন্যান্য কোম্পানির মুনাফা ১৪ থেকে ২১ কোটি টাকার মধ্যে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের বীমা কোম্পানির সংখ্যা অর্থনীতির তুলনায় বেশি, যা কোম্পানিগুলোর গ্রাহকসংখ্যা সীমিত করছে। ফলে ব্যবসা সংকুচিত হচ্ছে, ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং কখনো গ্রাহকের দাবি পরিশোধেও বিলম্ব হচ্ছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা আরও উল্লেখ করেছেন, কমিশন বৃদ্ধির ফলে অনেক কোম্পানি প্রিমিয়ামের ৬০–৭০ শতাংশ খরচ করছে এজেন্টদের জন্য। এতে লাভের সম্ভাবনা ক্ষীণ, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার খরচও যুক্ত থাকলে।
মন্তব্য করুন