নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : Sep 5, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

জনগণ যদি বলে পিআর লাগবে না, জামায়াত সেটাকে শ্রদ্ধা করবে : গোলাম পরওয়ার

ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন— “যদি জনগণ বলে পিআর লাগবে না, তাহলে আমরাও (জামায়াত) সেটাকে শ্রদ্ধা করি।”

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউটের থ্রিডি হলে এগ্রিকালচারিস্টস্ ফোরাম অব বাংলাদেশের (এএফবি) আয়োজিত ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এএফবি’র সভাপতি ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম মাহবুব ই ইলাহী (তাওহীদ) এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন,
“যে দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের কথা না শুনে কার ইচ্ছায় পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি দেওয়া হচ্ছে না? আমরা বলেছি, গণভোট দিন। যদি জনগণ পিআর চায়, তাহলে সব দলকে মানতে হবে। আর যদি জনগণ বলে পিআর লাগবে না, তাহলেও আমরা সেটা শ্রদ্ধা করবো।”

তিনি আরও বলেন,
“পিআর হলে কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার কমবে, সব দলের অংশগ্রহণে একটি ‘রিচ পার্লামেন্ট’ হবে। ছোট দলগুলোও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে। যে দল এক শতাংশ ভোট পাবে, তারাও সংসদে তিনটি আসন পাবে। অংশগ্রহণমূলক সংসদ গড়ে তোলার এ সুযোগ যারা চায় না, তারাই পিআরের বিরোধিতা করছে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন,
“আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব। তবে তার আগে পিআর-এর দাবি পূরণ করতে হবে। এ দাবি চলতেই থাকবে। সবাইকে বাদ দিয়ে যদি একতরফা নির্বাচন করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ আর সেটা মেনে নেবে না।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন,
“বহু কষ্টে যে সংস্কারের সুযোগ এসেছে, কোনো দলীয় সরকার এলে সেই সুযোগ আর থাকবে না। ইতোমধ্যে একটি দলের স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেছেন— যত সংস্কার আইনই করা হোক, তারা ক্ষমতায় এলে সব মুছে দেবেন। তাহলে যাওয়ার আগেই যদি মুছে দেন, ক্ষমতায় গেলে কী করবেন?”

সেমিনারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন,
“সশস্ত্র বাহিনীকে আমরা ছাত্রনেতা নূরকে মারতে দেখেছি, কিন্তু আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কাউকে আটক করতে দেখিনি। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আজও কোনো পরিবর্তন হয়নি।”

অন্যদিকে, মূল প্রবন্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন বলেন,

“২০২৪ সালের জুলাই সনদ জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল। এটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আইনি ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে অস্পষ্টতা ও রাজনৈতিক ভিত্তির কারণে এর বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

1

গোপালগঞ্জে এনসিপি সমাবেশে হামলা : ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

2

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন: প্রধা

3

ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে

4

জনগণ যদি বলে পিআর লাগবে না, জামায়াত সেটাকে শ্রদ্ধা করবে : গো

5

লাল শাপলায় রঙিন গোপালগঞ্জের বিল

6

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

7

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য প্রত্যাহারের দা

8

যেসব কারণে মিষ্টি বেশি খেতে মন চায়

9

‘প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না, শুধু ম্যাচটাই গুরুত্বপূর্ণ’

10

খুদে গল্প: বিপদে বন্ধুর পরিচয়

11

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে যে ১০ তথ্য দেবেন না

12

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাগরে নতুন লঘুচাপ, সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির পূর

13

গোপালগঞ্জে ছাদের পানি পড়া নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির

14

টিকটকে নতুন সুবিধা যোগ হলো

15

অতীতের রাষ্ট্রপরিচালকেরা দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন

16

এনসিপি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগসহ নিবন্ধন পাচ্ছে ৬ দল

17

পেছাল চাকসু নির্বাচন

18

আমাদের জীবিত কিংবদন্তি দিলারা জামান...

19

উপদেষ্টা হোক বা রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় নয় : সারজিস

20