ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় এসেছে লাঙ্গল প্রতীক। জাতীয় পার্টির ভেতরে প্রতীক নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। এতে লাঙ্গল নিয়ে টানাটানি দাঁড়িয়েছে চতুর্মুখী লড়াইয়ে।
দলীয় কোন্দলে জাপা এখন তিন ভাগে বিভক্ত—জি এম কাদেরপন্থি, রওশন এরশাদপন্থি ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদপন্থি। তিন পক্ষই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লাঙ্গল প্রতীকের দাবি জানিয়েছে। এরই মধ্যে আবার নিবন্ধনের দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় লীগও তাদের আদি প্রতীক হিসেবে লাঙ্গল দাবি করছে।
জাতীয় লীগের নেতারা বলছেন, দলটি ১৯৬৯ সালে আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই লাঙ্গল প্রতীকের প্রকৃত দাবিদার তারা। যদিও নিবন্ধনের অভাবে এতদিন দাবি জানাতে পারেনি, এবার নিবন্ধন পেলে তারা লাঙ্গল ফেরত চাইবে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকেই লাঙ্গল জাপার প্রতীক। কোনো নিবন্ধিত দল এই প্রতীক দাবি করতে পারে না। যদি কোনো জটিলতা হয়, তা আইনি পথে মোকাবিলা করা হবে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে। কারণ জাপার তিনটি অংশ এবং জাতীয় লীগ—চার পক্ষই একই প্রতীক চাইছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে বিভ্রান্তির কথাও স্বীকার করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লাঙ্গল প্রতীককে ঘিরে এই দ্বন্দ্ব জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও দুর্বল করতে পারে। একইসঙ্গে ইসির ওপরও চাপ বাড়ছে প্রতীকের প্রকৃত দাবিদার নির্ধারণে।
মন্তব্য করুন