আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ভারতের ঔদ্ধত্যই যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের আরও ঘনিষ্ঠ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মার্ক কিমিট। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
কিমিট সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নয়াদিল্লির জন্য অশনিসংকেত।
তিনি ব্রিটিশ উপস্থাপক পিয়ার্স মরগানের আনসেন্সরড অনুষ্ঠানে বলেন, “ট্রাম্পের সঙ্গে আসিম মুনির এখন এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, যা ভারতের ভাববার মতো বিষয়। ট্রাম্পের প্রতি ভারতের ঔদ্ধত্যই আমাদের পাকিস্তানের দিকে আরও টেনে এনেছে।”
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান-ভারত সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় ট্রাম্প নিজেকে পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকানোর নায়ক হিসেবে তুলে ধরেন। তবে ভারত দাবি করে, যুদ্ধবিরতি হয়েছে দুই দেশের পারস্পরিক সমঝোতায়। ওই ঘটনার পর থেকেই মোদি-ট্রাম্প সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
গত ১৭ জুন ফোনালাপের সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অস্বস্তি চূড়ান্ত আকার নেয়। এর আগে ট্রাম্প কানাডায় জি-সেভেন সম্মেলন আগেভাগে ছেড়ে চলে আসেন এবং নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেননি। ঠিক এর কিছুদিন আগে, জুন মাসেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন— যা ছিল এক বিরল ঘটনা।
তবে এরই মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে ভিন্ন সুর শোনা গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক এখনো “খুবই ইতিবাচক”। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
মোদি লিখেছেন, “ট্রাম্পের আন্তরিক অনুভূতি ও ইতিবাচক মূল্যায়নকে আমি গভীরভাবে প্রশংসা করি এবং একইভাবে প্রতিদান দিই। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অত্যন্ত ইতিবাচক, অগ্রসরমান, ব্যাপক এবং বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বমূলক।”
অন্যদিকে, ট্রাম্পও সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি সবসময় মোদির বন্ধু থাকব। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই।” তবে তিনি আগের সেই মন্তব্যের গুরুত্ব কমিয়ে দেন, যেখানে বলেছিলেন, “ভারত হয়তো চীনের কাছে হারতে পারে।”
মন্তব্য করুন