লাইফস্টাইল ডেস্ক,
সকালবেলা আয়নার সামনে চুল পাতলা বা স্ক্যাল্প বেশি দেখা—অনেক পুরুষেরই আজকাল স্বাভাবিক চেহারার সঙ্গে যুক্ত সমস্যা। চুল পড়া স্বাভাবিক হলেও, যখন চুল পড়ার হার চুল গজানোর চেয়ে বেশি হয়, তখন সমস্যা শুরু হয়।
বেশিরভাগ নারী চুলের যত্নে সচেতন হলেও অনেক পুরুষ তা এড়িয়ে যান। তবে কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস ধীরে ধীরে চুলের ক্ষতি বাড়ায়।
১️⃣ অতিরিক্ত চুলের পণ্য ব্যবহার
ব্লিচ বা কালার চুলের প্রয়োজনীয় তেল ও পুষ্টি নষ্ট করে।
ড্রাই শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার করলে ফোলিকল বন্ধ হতে পারে।
নিয়মিত শ্যাম্পু করলে স্কাল্প পরিষ্কার থাকে ও নতুন চুল জন্ম নিতে পারে।
২️⃣ অনিয়মিত বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
প্রোটিন (কেরাটিন), ভিটামিন, খনিজ ও পানি চুলের জন্য অপরিহার্য।
পুষ্টির অভাবে শরীর জরুরি কাজগুলো অগ্রাধিকার দেয়, চুলের বৃদ্ধি পিছিয়ে যায়।
৩️⃣ অতিরিক্ত তাপমাত্রার ব্যবহার
ফ্ল্যাট আয়রন, ব্লো ড্রায়ার বা কার্লিং আয়রন চুল ভেঙে দিতে পারে।
তাপমাত্রা ৩৪৭°F-এর বেশি হলে ক্ষতি বেশি।
সাধারণত ফোলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তাই নতুন চুল জন্ম নেয়।
৪️⃣ মদপান ও ধূমপান
মদ্যপান চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে, কেরাটিন কমায় এবং ঘুমে বাধা দেয়।
ধূমপান নিকোটিনের কারণে রক্ত চলাচল কমিয়ে চুল পাতলা করে এবং ঝরে যায়।
হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তনও চুল পড়ার হার বাড়ায়।
৫️⃣ টাইট বা আঁটসাঁট চুলের স্টাইল
টাইট পনিটেইল, কর্নরো, ব্রেইড বা পিগটেইল চুলে টান দেয়।
এই টান ‘ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া’ তৈরি করতে পারে, যেখানে চুল স্থায়ীভাবে ঝরে যায়।
💡 বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
দামী প্রোডাক্ট বা চিকিৎসার আগে দৈনন্দিন অভ্যাস ঠিক করুন। ছোট পরিবর্তনেও চুল পড়ার হার কমে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
মন্তব্য করুন