ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পথ হেঁটে অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন গোপালগঞ্জের চার রোভার স্কাউট সদস্য — আশরাফুল আলম নাজিম, নয়ন খান, মো. আবু তালহা ও এস.এম. ইমতিয়াজ বিন মাহবুব নিশান।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গেট থেকে নড়াইল–যশোর হয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। পায়ে হাঁটা এই যাত্রা শেষ হবে আগামী ৯ অক্টোবর খুলনার বিএম কলেজে গিয়ে।
পরিভ্রমণ চলাকালে তারা কাশিয়ানী ডাকবাংলো, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও যশোরের হামিদপুর আল হেরা ডিগ্রি কলেজে যাত্রাবিরতি ও রাত্রিযাপন করবেন।
জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন বার্তা প্রচারের লক্ষ্যেই তাদের এ উদ্যোগ। পথে পথে তারা বিদ্যুৎ অপচয় রোধ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, বাল্যবিবাহ বন্ধ, প্লাস্টিক বর্জন ও পলিথিনের বিকল্প ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন।
গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভারমেট আশরাফুল আলম নাজিম বলেন,
“এই পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য নেতৃত্ব, শারীরিক সক্ষমতা ও দলগত চেতনা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি সমাজে স্কাউটিংয়ের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। এটি আমাদের জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।”
গোপালগঞ্জ জেলা রোভার সম্পাদক মো. জুবাইর আল মাহমুদ বলেন,
“প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড (পিআরএস) অর্জনের অংশ হিসেবে এই ১৫০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা পরিভ্রমণ বাধ্যতামূলক। গোপালগঞ্জের এই চার রোভার সদস্যদের উদ্যোগ আমাদের জেলার জন্য গর্বের বিষয়।”
পরিভ্রমণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা রোভার কমিশনার এ.এল.টি. প্রফেসর মো. মাসুদ আহমেদ, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক সুকলাল বিশ্বাস, জেলা রোভার সহকারী কমিশনার (মেম্বারশিপ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) হৃদয় কুমার শীল এবং জেলা রোভার মিডিয়া টিমের সদস্য সচিব ও যুগ্ম সম্পাদক রাজু শিকদার (উডব্যাজার)।
স্কাউটিংয়ে পায়ে হেঁটে দীর্ঘপথ অতিক্রমের এই কার্যক্রমকে ‘র্যাম্বলিং’ বা ‘পরিভ্রমণ’ বলা হয়। প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে রোভারদের পায়ে হেঁটে ১৫০ কিলোমিটার, নৌকাযোগে ৩০০ কিলোমিটার বা সাইকেলযোগে ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়।
মন্তব্য করুন