ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
গোপালগঞ্জে ন্যাশনাল ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে। দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়েও গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত টাকা তুলতে পারছেন না। ৩০ হাজার টাকার চেক নিয়েও অনেক সময় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মাসের পর মাস ব্যাংকের আশ্বাস শুনলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েছেন আমানতকারীরা। সংসারের খরচ, সন্তানের পড়াশোনার ব্যয় ও চিকিৎসা নিয়ে তারা মারাত্মক সমস্যায় আছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, “আমি এই ব্যাংকে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রেখেছিলাম। এক বছরে এক কোটি টাকা উঠাতে পারলেও বাকি ৪৫ লাখ টাকা তুলতে পারছি না। এতে আমার ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।”
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ ও ব্যবসায়ী কায়ুম কাজীও একই অভিযোগ করেছেন। এমনকি রূপালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার আব্দুল হান্নানও বলেন, “আমি নিজেও টাকা তুলতে পারছি না। এতে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।”
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা নেমে এসেছে। নতুন আমানত কমে যাওয়ায় নগদ টাকার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার নিয়েও সংকট কাটানো যাচ্ছে না।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড গোপালগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান রাজু বলেন,
“৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নেই। লেনদেন কমে যাওয়ায় আমরা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারছি না। এফডিআর ভাঙা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।”
মন্তব্য করুন