রাত নামে শহরের নিস্তব্ধ এক প্রান্তে। মৃদু বৃষ্টির ছোঁয়ায় রাস্তা ভেজা, বাতাস ঠাণ্ডা। সেলিম ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার চোখে পড়ল একজন ছেলে, যার চেহারা অচেনা, চুল জড়ানো, কাঁপছে।
“বন্ধু, সাহায্য করবে?” – কাঁপতে কাঁপতে বলল সে।
সেলিমের হৃদয় কেঁপে উঠল। মানুষের প্রতি বিশ্বাস অনেক ক্ষয় হলেও, আজও মনে হলো—মানুষকে সাহায্য করা উচিত। সে ছেলেটিকে কাঁধে ধরে এক রেস্তোরাঁর পাশে নিয়ে গেল। গরম চা দিল, শুকনো জামা নিয়ে দিল।
কথা বলার ফুরসত পেলেই ছেলেটি কাঁপতে কাঁপতে বলল, “আমার নাম রিয়াদ। আমি আজ বাড়ি ফিরতে গিয়ে চুরির শিকার হয়েছি। পকেট খালি, ব্যাগ হারিয়ে গেছে। এখন কোথায় যাব, জানি না।”
সেলিম তার দিকে তাকিয়ে বলল, “চিন্তা করো না। আমি তোমাকে সাহায্য করব। ঠিক আছে?”
রিয়াদের চোখে অশ্রু। “ধন্যবাদ, বন্ধু। তোমার মতো মানুষ সত্যিই আছে,” বলল সে।
সেলিম হেসে বলল, “বন্ধু মানেই বিপদে পাশে থাকা।”
রাত কাটল গল্প, চা, কষ্ট আর নতুন বন্ধুত্বের ছোঁয়ায়। সেদিন থেকে রিয়াদ বুঝল, সত্যিকারের বন্ধু বিপদে চিনা যায়, আর সেলিমও বুঝল—মানবতার জন্য সাহায্য করা কখনো বৃথা যায় না।
মন্তব্য করুন