ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
চলতি বছরের জুন মাসে লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ সময় ধরে চলা সেই বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও, কী বিষয়ে কথা হয়েছে—তা এতদিন পর্যন্ত স্পষ্ট জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে তারেক রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বৈঠকে নির্বাচনের বাইরেও অন্য কোনো বিষয় আলোচিত হয়েছিল কি না।
জবাবে তারেক রহমান বলেন,
“উনি একজন স্বনামধন্য ও বিজ্ঞ মানুষ। তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন—জনগণ যদি আপনাদের সুযোগ দেয়, তাহলে দেশের ও মানুষের জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“দেশ, জনগণ এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার কিছু চিন্তাভাবনা আছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী করতে চাই, তা নিয়েই কথা হয়েছে।”
সাক্ষাৎকারে আরও একটি প্রশ্ন ছিল—৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত এক বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়েছে। বিএনপি সরকারে এলে এই সম্পর্কে পরিবর্তন আসবে কি না বা নতুন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।
এর জবাবে তারেক রহমান বলেন,
“তারা যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হন, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। আমিও আমার দেশের মানুষের সঙ্গেই থাকব।”
এ সময় তিনি বিএনপির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ও সম্ভাব্য সংস্কার ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত কথা বলেন।