দেশি মৌসুমি ফল কতবেল শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ক্যালসিয়াম ও আঁশের ভালো উৎস। তবে সঠিকভাবে খেলে এর উপকার অনেক বেশি পাওয়া যায়।
কোনভাবে খেলে কম উপকার:
আচার, জেলি বা রান্না করা পদ:
তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়, আর পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনও নষ্ট হয়। ফলে এসব পদ থেকে ভিটামিন সি বা বি পাওয়া যায় না।
চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরি পদ:
নিয়মিত বা বেশি খেলে রক্তের শর্করা দ্রুত বেড়ে যায় এবং সহজেই মেদ জমে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
জুস
এতে আঁশ থাকে না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের উপকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
সবচেয়ে ভালোভাবে খাওয়ার উপায়:
কতবেল মাখানো বা ভর্তা:
লবণ-মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেলে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান অক্ষত থাকে। এভাবেই কতবেল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ত্বকের তারুণ্য ও সজীবতা ধরে রাখে
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ক্ষুধা বাড়ায় ও রুচি উদ্রেক করে
সতর্কতা:
অতিরিক্ত খেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ বা শরীরে পানি জমার প্রবণতা থাকলে বাড়তি লবণ এড়িয়ে চলুন
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের জন্য কতবেল এড়িয়ে চলাই ভালো
সোজা কথায়, লবণ-মরিচ দিয়ে মাখানো কতবেল খাওয়াই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী উপায়।