ভয়েস অফ গোপালগঞ্জ ডেস্ক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালীর এক শিক্ষার্থী। তার পক্ষে এলাকার আত্মীয় ও পরিচিতরা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ফোন করে ভোট চাচ্ছেন।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা জানান, তার এলাকায় একাধিক ব্যক্তি ফোন করে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে আশিকুর রহমান বলেন, তার গ্রামের এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে প্যানেল সমর্থনের জন্য ভোট চেয়েছেন।
শুধু জেলা বা উপজেলা নয়, গ্রামাঞ্চলেও ডাকসু নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ছাত্ররা চা-আড্ডা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন যেমন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্থানীয় ও অনলাইনে সমর্থন আদায়ে ব্যস্ত।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়া বড় প্রভাবক হতে পারে। তবে আঞ্চলিক প্রচার বা অনলাইনে সমর্থনের হাইপ শেষ পর্যন্ত ভোটের ফলাফলে সীমিত প্রভাব ফেলবে। ভোটের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে শিক্ষার্থীদের কাছে কোন সংগঠন ভবিষ্যতে পজিটিভ ভূমিকা রাখতে পারবে তার ওপর।
ছাত্রনেতারা এই আঞ্চলিক প্রচারকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ এবং তানভীর বারী হামিম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থকরা উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রচার চালাচ্ছে, যা নির্বাচনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ।
ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানীও এ ধরনের এলাকায় কেন্দ্রিক প্রচারকে স্বাভাবিক উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রার্থীকে যারা চেনেন, তারাই স্বাভাবিকভাবেই সমর্থন দেবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এটিকে স্বাভাবিকই ধরা হচ্ছে।”